সেই আদিম সভ্যতার সময় থেকে মানুষ একে অপরকে সাথে নিয়ে থাকতে চেয়েছে। ধীরে ধীরে অরণ্য সরিয়ে জনপদ হয়েছে, মানুষের ভাবধারা বদলে গিয়েছে ধীরে ধীরে। তবুও আজ ও প্রতিটা মানুষ সুস্থ সম্পর্কের স্বপ্ন দেখে। ভালোবাসি বলে কাছে থাকতে চায়। সমাজ জটিল হয়েছে, হয়তো আরও জটিল হবে। তবুও আমরা সম্পর্কের গল্প শুনবো। সম্পর্কের যত্ন করবো।।
গফুর ও আমিনা উপন্যাস টি একটা সিক্যুয়েল। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা মহেশ গল্পের পরবর্তী অংশ |
সেখানে গফুর আছে, আমিনা ও আছে। জমিদার আছেন, তর্করত্ন ও আছেন। আছে নূতন কিছু চরিত্র। তাদের সাথে পরিচিত হতে গেলে পড়তেই হবে এই উপন্যাস। ঘুরে আসুন একবার গফুরের সংসারে।
রৌদ্রস্নাত উপন্যাস টি সাধারত কিশোর কিশোরদের উপযোগী উপন্যাস। তবে বড়োরাও এই উপন্যাস পড়তে পারেন। কিশোর বয়সে একটু ঘুরে আসতে ক্ষতি কি!
এই উপন্যাস এর একটা মজার বিষয় হলো, এতে একটা চরিত্রের ও নামাঙ্কণ করা নেই। পাঠক চাইলেই নিজেকে অনায়াসে কল্পনা করে নিতে পারবেন। সাদামাটা দুজন কিশোর কিশোরী, সবার মধ্যে মিলিয়ে যেতে পারে।
স্বপ্ন দেখতে চাওয়া তুমি বা আমি।
আমাদের মনের মধ্যে ঠিক কী চলতে থাকে? খ্যাতি, প্রতিপত্তি? না, তা নয়। আমরা সবসময় একটা পরিচয় চেয়েছি। আমরা আদপেই সবাই শিল্পী মানুষ। কেউ কলম ধরে, কেউ রঙতুলি, কেউ বা আর পাঁচটা জিনিস। সবাই তৈরি করে চলেছি সমাজ। আলাদা আলাদা সবার ক্ষেত্র।
তাই, আলাদা হয়েও সবাই এক। আমরা সবাই এক স্বপ্ন ই দেখি। সফল হবার আশা ও রাখি। জিততে হবে। হারের একেবারে কাছ থেকে ফিরেও পরিচয় তৈরি করতে হবে।
তবেই না সার্থক জীবন।।
গল্পের মধ্যে প্রাণ থাকে। এক একটা চরিত্র মিশে যায় এক এক ব্যক্তির সাথে। একাকী বসে সে চিন্তা করে। একটা চরিত্র ঠিক কীভাবে এতোটা আপন হতে পারে?
গল্প লিখতে গিয়ে আমরা জীবন লিখে রাখি। এক একটা শব্দ, প্রাণের কথা বলে। সেইখান থেকেই রসদ নিয়ে বাঁচে মানুষ। বাঁচে সভ্যতা।
তিনটে গল্পে তিন ধরনের জীবনের কথা আছে। দেখুন খুঁজে, ঠিক কোন চরিত্র আপনাকে সবথেকে ভালো বর্ণনা করতে পারে।।